অনলাইন ডেস্ক:
জোর পূর্বকভাবে জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজের চেষ্টায় বাঁধা দেয়ায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা জমি মালিক মো. জিলানীকে (৩৩) ধারালো অস্ত্রের দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বর্তমানে মারাত্মক আহত মো. জিলানী সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎধীন রয়েছে।
আহত মো. জিলানী উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের মৃত মহারাজ মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় আহত মো. জিলানী বাদি হয়ে একই এলাকার মৃত শাহাবুদ্দিন মেম্বারের ছেলে জাবেদ রায়হান (৩৮), আহমেদ হোসেন হিরু (৫৪), মো. শামিম রেজা (৪৫), ও আহমেদ হোসেন হিরুর ছেলে শাহেদকে (২৪) আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
আহত জিলানী জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা কাঁচাবাজার সংলগ্ন হাবিবপুর খানকার সামনে একই এলাকার মৃত শাহাবুদ্দিন মেম্বারের ছেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রায়হান, আহমেদ হোসেন হিরু, মো. শামিম রেজা, ও আহমেদ হোসেন হিরুর ছেলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রিয় ছাত্র সমাজের সদস্য শাহেদ, আমাদের জায়গা জোর পূর্বকভাবে দখল করে শৌচাগার নির্মাণ করার চেষ্টা করে। এসময় আমি তাদেরকে বাঁধা দিয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিসহ ৩০-৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো রামদা, চাইনিজ কুড়াাল, ধারালো চাপাতি, ছেনা, হকিস্টেক, টেটা, বল্লম, শাবল, লাঠিসোঠাসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার উপর হামলা চালায়। এ সময় জাতীয় পার্টির সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম করে।
তিনি আরো জানান, আমি অসহায় বলে আমার জায়গার বিভিন্ন ভাড়া দেয়া দোকান থেকে তারা ভাড়ার টাকা তুলে নিয়ে যায়। এই বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত জাবেদ রায়হান, আহমেদ হোসেন হিরু ও মো. শামিম রেজার চাচা জাতীয় পার্টির নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের কাছে মীমাংসার দাবি করি। পরে সোনারগাঁও থানা পুলিশের সহায়তায় বিচার শালিশের মাধ্যমে আমাকে আমার জায়গা বুঝিয়ে দেয়া হয়। এতে করে তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রায় সময় আমাকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। আমি জাতীয় পার্টির এ সকল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশের আইজিপি, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার র্যাবের উর্ধ্বতণ কর্মকর্তাদের কাছে বিচারের দাবি জানাই।
সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, হাবিবপুর এলাকায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply